মধ্যরাতের স্বাধীনতা ও আহত বিবেক
দীপেন্দু চৌধুরী আধখানা মুখ বাইরে রেখো, আধখানা মুখ অন্ধকারে, দূর থেকে যেন সবাই তোমায় দেখতে পারে। আধখানা মুখ, শঙ্খ ঘোষ কথাটা মেনে নিতেই হচ্ছে, মানচিত্র জুড়ে ভাগ হয়ে যায় ঈশ্বর, ভালবাসা এবং পৃথিবী। নদী ভাঙ্গে, গঙ্গা ভাঙ্গে, পদ্মা ভাঙ্গে। জলের স্রোত তলিয়ে দেয় বাস্তুভিটে, পারিবারিক বন্ধন, সামাজিক বন্ধন। তলিয়ে যায় আবেগ, মুঠো মুঠো অহংকার। আমরা আজও থাকি শিকড়ের সন্ধানে। ব্যক্তি জীবন, গোষ্ঠী জীবনের জন্ম-মৃত্যু চক্রের অনিবার্য ভাঙন-গড়ন, বৃহত্তর প্রেক্ষাপট গড়ে দিয়ে যায়। সামাজিক অভিঘাত প্রকৃতির ভাঙনের থেকেও আরও মর্মান্তিক হয়ে দাগ কেটে দেয় । আমরা অসহায়ের মতো মেনে নিই। বাংলার মাটি বাংলার জল ভাগ হয়ে যায়। হাবিবগঞ্জের জালালি কইতর ‘ডানা ভাইঙা’ কইলকাতায় এসে পড়েছিল। হেমাঙ্গ বিশ্বাসের গানে এই সত্য আমরা খুঁজে নিতে পেরেছিলাম। ট্রেনের চাকা থেমে গেলেও পদ্মা-গঙ্গার সুর থামাতে পারেনি কেউ। ঘরে-বাইরে ভাঙনের মর্মন্তুদ যন্ত্রণা নিয়েই আমরা ‘বার ঘর এক উঠোন আটপৌরে সমাজ গড়েছিলাম। কলোনি উত্তর বৃহত্তর আঙিনা ‘এ আমার দেশ এ আমার উপত্যকা নয়’ বলতে পারলে ভাল হত। কিন্তু বলার অবকাশ নেই। দেশভাগের যন্ত্রণাকাতর মুখগুলির কথা